শেরপুরের উলোখযোগ্য হাটবাজার:
প্রাচীনতম জনপদ শেরপুরের সীমানা সেসময় বর্তমানের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ছিল। বর্তমান ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর, হালুয়াঘাট, দুর্গাপুরের কিছু অংশ, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ শেরপুরের অমত্মর্ভূক্ত ছিল। এ বিসত্মৃত এলাকায় সেসময় অনেক গুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। সপ্তাহের বিভিন্নদিনে এখানে হাট বসতো। সেখানে স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা হতো।
এ পরগণার উলোখযোগ্য হাটবাজারগুলো হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ (তিনআনী), ঘোষগাঁও, গিলাগাছা, মাদারগঞ্জ, কুরুয়া, গাজীরখামার, নকলা, রৌহা, ভীমগঞ্জ, চন্দ্রকোনা, মুন্সীর হাট (কৃষ্ণগঞ্জ), ঝিকুর হাট, বাড়ই কান্দি, সুতার পাড়, শ্রীবরদী শম্ভুগঞ্জ, রাজগঞ্জ, মালিঝীকান্দা, নন্নী, ভায়াডাঙ্গা, জিরাইগাতি (ঝিনাইগাতি বা কোদালজানী), রানীশিমূল, পাইকুরা, তন্ত্র (কামারপাড়া), হাতিপাগাড়, বালুঘাট, তারাগঞ্জ, মানিকপাড়া, শিমূলতলী, কৈয়েরহাট, হালুয়াঘাট, ধারা, লাউচাপড়া প্রভৃতি। এসব বাণিজ্যিক কেন্দ্রের অনেকগুলো এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা নাম পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ী হাটবাজারে সেসময় বিনিময় প্রথার মাধ্যমেও পণ্যের লেনদেন চালু ছিল। উপজাতি আদিবাসী লোকজন বাঁশ, কাঠ, কার্পাস তুলা, পচাপাতা, তেজপাতার বিনিময়ে ধান, চাল, লবন, তামাক, তৈজসপত্র, শুটকীমাছ ও গৃহপালিত মোরগ-মুরগী গ্রহণ করতো।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস