শেরপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ে নকলের দায়ে ২০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া নকল সরবরাহে সহযোগিতার দায়ে দুই বহিরাগতকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার শেরপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মাসুদ রানা এ অভিযান চালান। অর্থদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শেরপুর জেলা শহরের নারায়ণপুর এলাকার মাসুদা বেগম (৩০) ও সারোয়ার হোসেন (৩২)।
জেলা প্রশাসন ও কলেজ সূত্র জানায়, চলতি বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে শেরপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ২৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষায় ব্যাপক নকল হচ্ছে-এমন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী হাকিম মাসুদ রানার নেতৃত্বে ওই কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় আদালত পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে ১৪ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ছাড়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ ও নকল সরবরাহে সহযোগিতা করার অভিযোগে তিনি মাসুদা বেগম ও সারোয়ার হোসেনকে ৫০০ টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। পরে বেলা দুইটার দিকে একই কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। একই আদালত সেখানেও অভিযান চালান আর নকল করার অভিযোগে অভিযোগে আরও ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মাসুদ রানা ২০ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা ও দু’জনকে অর্থদণ্ড দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সদস্য ও শেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষার হলে পরিদর্শকেরা বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীরা অসদুপায় অবলম্বন করছিলেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS