Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
কলা বাগান
Location
, শেরপুর সদর, শেরপুরশেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শেরপুর-ঝিনাইগাতী ফিডার রোডর সংলগ্ন কান্দাপাড়া মহল্লার স্থানীয় মো: আজাহার আলীর ধানের খোলার পাশে কান্দাপাড়া
Transportation
কান্দাপাড়া, শেরপুর সদর, শেরপুর
Details

সবুজের সাথে মিতালি করতে চাইলে চলে আসুন শেরপুরের অর্কিড পর্যটন প্রকল্পে। শেরপুর জেলা শহরের মধ্যেই ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে অর্কিড পর্যটন প্রকল্প। এ প্রকল্পের চারিদিকে রয়েছে সারি সারি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ গাছ, মাঠ জুড়ে রয়েছে সবুজ ঘাস আর সান বাঁধানো পুকুর। পুকুরের চারপাশে মাছ খেতে বসে থাকে সাদা-সাদা বক। সবুজ বাতায়নের ওই অর্কিড প্রাঙ্গণের খাঁচায় খেলা করছে বানর, টার্কিছ, খরগোশসহ দেশীয় বিভিন্ন জীবজন্তু। প্রিয়জন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে বসে আড্ডা দেয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ছাতা এবং ছাতার নিচে রয়েছে বসার জন্য চেয়ার। চা, কফি ও সেভেন-আপ বা কোকাকোলা পানের জন্য রয়েছে ছনের তৈরী সুদৃশ্য ক্যান্টিন এবং রেস্ট হাউজ। এ যেন শহরের মধ্যে এক খন্ড সবুজের লীলা ভুমি। পরিবার-পরিজন নিয়ে হাতের কাছে বেড়ানো বা শহুরে জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে চমৎকার একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র এই ‘অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র’।
শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শেরপুর-ঝিনাইগাতী ফিডার রোডর সংলগ্ন কান্দাপাড়া মহল্লার স্থানীয় চাতাল ব্যাবসায়ী ও সৌখিন মনের অধিকারী মো: আজাহার আলী ১৯৯০ সালে প্রাথমিক ভাবে তার ধানের খোলার পাশেই প্রায় সারে ৫ একর জমির উপর সম্পূর্ণ ব্যক্তি খরচে নানা জাতের দেশী-বিদেশী বনজ ও ফলদ গাছ-গাছড়া রোপণ করে গড়ে তুলেন ‘অর্কিড বাগান'। সেসময় ওই বাগান ‘কলা বাগান’ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছিল। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ওই বাগানের সৌন্দর্য হারানোর পর আবার ২০০৮ সাল থেকে অর্কিড মালিক আজাহার আলী তার মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে নানা অবকাঠামো তৈরীর মাধ্যমে নতুন করে গড়ে তুলেন ‘অর্কিড পর্যটন প্রকল্প’। এবার তার অর্কিডে প্রবেশ করতে স্বেচ্ছাদান হিসেবে ২০ টাকা করে ধার্য করেছেন। প্রতিদিন ওই অর্কিডে বন্ধু-বান্ধবসহ ক্লান্ত জীবনের একটু অবকাশ কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসছে শহরবাসী এবং জেলার অন্যান্য স্থানের লোকজন। বিশেষ করে ছুটির দিনে বেড়াতে আসা লোকজনের ভিড় বেশী হয়। কেউ যদি অর্কিড রিজার্ভ করে কোন প্রতিষ্ঠান বা পারিবারিক কোন অনুষ্ঠান করতে চায় তবে দিন চুক্তি ৫ হাজার টাকায় বুকিং করতে হয়। আপাতত রাত্রি যাপনের কোন ব্যাবস্থা না থাকলেও ভবিষ্যতে এখনে আবাসিক বাংলোসহ ভ্রমনবিলাসী ও বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য নানা সুযোগ সবিধা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্কিড মালিক আজাহার আলী। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত (সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত) অর্কিডে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সন্ধ্যার পর কোন দর্শনার্থীকে ভিতরে থাকতে দেওয়া হয়না।